টয়লেটের ছিদ্র দিয়ে কৌশলে এক তরুনীর ছবি তোলার সময় হাতে নাতে ধরা পড়েছে এক যুবক। রাজধানীর ধানমণ্ডিতে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছবি তোলার সময় ঐ নারীর চিতকারে হাতে নাতে আটক করা হয় যুবককে। খবর পেয়ে সাংবাদিকেরা সেখানে গেলে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারীরা তাদের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে। পরে সময় টিভির সাংবাদিককেও চড় থাপ্পড় দিয়ে সেখান থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে পপুলারের স্টাফরা । পরে রোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত হাসিবুর রহমান (২৭) নামের ঐ যুবক ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের টেলিফোন অপারেটর হিসাবে কর্মরত। ধানমণ্ডি থানার এসআই খায়রুল ইসলাম জানান, “শনিবার সকালে নিকুঞ্জ থেকে আসা এক নারী সকালে তার মাকে নিয়ে পরীক্ষার জন্য পপুলারে আসেন। সকাল ৮টার দিকে নীচতলার বাথরুমে ঢোকার পরপরই তিনি লক্ষ্য করেন, পাশের বাথরুমের নীচ দিয়ে মোবাইলে কে যেন ছবি তুলছে। এরপর তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে পাশের বাথরুম থেকে হাসিবুর রহমানকে মোবাইলসহ ধরে ফেলে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।”
এস,আই খায়রুল আরও বলেন, মামলাটি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১) ধারায় দায়ের করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুইলাখ টাকা অর্থদণ্ড হতে পারে। তার কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইলটি পরীক্ষার জন্য সিআইডি’র কাছে পাঠানো হবে বলেও জানান এসআই খায়রুল ইসলাম ।
মানিকগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন, শিক্ষক গ্রেপ্তার!
দেওয়ান আবুল বাশার, স্টাফ রিপোর্টার: মানিকগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শরিফুল ইসলাম সেন্টু (৩৬) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি দৌলতপুর প্রমোদা সুন্দরী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও স্থানীয় মৃত মাঈনুদ্দিন খোশনবিশের ছেলে। মঙ্গলবার রাতে দৌলতপুর থানায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা মামলা দায়ের করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা যায়, নিপীড়নের শিকার ওই মেয়েটি ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা একজন সিএনজি চালক। বাদীর মা প্রায়ই শিক্ষক শরিফুল ইসলাম সেন্টুর বাড়িতে বিভিন্ন কাজকর্মে সহযোগিতা করেন। গত জানুয়ারি মাসে প্রথমে তার নাতনিকে নিয়ে ওই বাড়িতে গেলে শিক্ষক সেন্টু তাকে যৌন নিপীড়ন করেন। এরপর একাধিকবার শিক্ষক সেন্টু নিজ স্কুলের ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
এর আগে একাধিকবার ওই ছাত্রী বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালেও লোক-লজ্জার ভয়ে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গণে সহপাঠীদের সাথে ফুটবল খেলার সময় শ্বাসকষ্টে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তীতে মুন্নু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথেও সেন্টু তাকে যৌন নিপীড়ন করেন বলে জানাগেছে। মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রী শিক্ষক শরিফুল ইসলাম সেন্টুর দ্বারা যৌন হয়রানির ঘটনা কয়েকজন নার্স ও চিকিৎসকদেরকে জানায়। পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানালে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে যৌন নিপীড়ন করেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কর্মকার জানান, হাসপাতালে ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। সে শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দেয়ার সময় অনেক কাঁদছিলো। এঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে রাতেই সেন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
শিক্ষক সেন্টু অন্য কোনো শিক্ষার্থীর সাথে যৌন নিপীড়নেের ঘটনা ঘটিয়েছেন কিনা সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি সুনীল কর্মকার।
বুধবার, জুলাই ১০, ২০১৯